আয়তন | 1467 বর্গকিলোমিটার (566 বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | 48,50,029 জন মোট |
জনসংখ্যার ঘনত্ব | 3300/বর্গকিলোমিটার (8600 বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | 83.31% |
লিঙ্গ অনুপাত | 935 জন |
প্রশাসনিক বিভাগ | প্রেসিডেন্সি বিভাগ |
সদর দপ্তর | হাওড়া |
লোকসভা কেন্দ্র | হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর অংশত |
বিধানসভা আসন | 16টি |
পৌরসভা | 2 টি |
থানা | 27 টি |
ভৌগলিক অবস্থান: উত্তরে হুগলী জেলা, দক্ষিণে ও পশ্চিমে মেদনীপুর, পূর্বে হুগলী নদী।
নদনদী: জেলার প্রধান নদীগুলো হলো হুগলী ও তার উপনদী সরস্বতী, দামোদর ও তার দুই শাখা নদী কানা দামোদর এবং পুরানো দামোদর রূপনারায়ন ।
কৃষিকাজ: এই জেলার প্রধান কৃষিপণ্য হলো ধান। আমন ধানের চাষ সর্বাধিক। খাদ্যশস্যের মধ্যে ধানের পর ডাল প্রধান কৃষি ফসল। ছোলা , মুগ, মসুরি প্রভৃতির চাষ হয়। পাট এই জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল।
হাওড়া জেলা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
1) হাওড়া জেলায় কত গুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে?
উত্তর) 2116 টি।
2) হাওড়া জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এইরকম কিছু নদীর নাম?
উত্তর) হুগলি নদী (এটি গঙ্গার প্রধান দুটি প্রবাহের একটি), রূপনারায়ন নদ (দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত প্রবাহের নাম রূপনারায়ণ), দামোদর নদ(এই নদকে বলা হয় দুঃখের নদ)।
3) এই জেলার আবহাওয়া কী রকম?
উত্তর) উষ্ণ আদ্র ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির।
4) এই জেলার সাক্ষরতার হার কত?
উত্তর) 83.31%
5) হাওড়া জেলা কবে গঠিত হয়?
উত্তর) 1937 সালে।
6) এই জেলার একটি চড়ুইভাতি স্থানের নাম?
উত্তর) গাদিয়ারা।
7) এই জেলার কিছু বিখ্যাত শিল্পের নাম?
উত্তর) খাদি ও কুঠির শিল্প ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প।
8) এই জেলার লোকসংস্কৃতির নাম?
উত্তর) গাজন।
9) এই জেলার দুটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রের নাম?
উত্তর) আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বা শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন।পূর্বনাম শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন।
গড়চুমুক এটি হুগলি ও দামোদর নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। এইখানে দামোদর নদের ওপর এশিয়ার সবথেকে বৃহত্তম স্লইস গেট আছে।
10) এই জেলার উল্লেখযোগ্য উৎসব?
উত্তর) রথযাত্রা, চণ্ডী উৎসব, কালীপূজা, শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের জন্মদিন, রামকৃষ্ণ মিশনের নিজস্ব উৎসব।
11) হাওড়া জেলার হাসপাতালের সংখ্যা ?
উত্তর) সরকারী:9 টি, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা 429 টি।
12) এই জেলার আদালতের নাম?
উত্তর) হাওড়া ময়দানে হাওড়া কোর্ট জেলার একমাত্র কোর্ট।
13) এই জেলার ক্রীড়াঙ্গনের নাম কি?
উত্তর) হাওড়া স্টেডিয়াম হাওড়া ময়দানে অবস্থিত।
14) এই জেলার কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম লেখো?
উত্তর) শিশির কুমার ভাদুড়ী ,বিষ্ণু দে, কানন দেবী প্রমুখ।
15) বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক কার্যাবলী কোথায় পরিচালিত হয়?
উত্তর) হাওড়ার নবান্ন থেকে, পূর্বে কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে এই কাজ পরিচালিত হতো।
হাওড়া জেলার কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম
1) বিষ্ণু দে: শিক্ষাবিদ, কবি ও শিল্পা নুরাগী। বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হলো চোরাবালি, উর্বশী।
2) ভবানীপ্রসাদ মজুমদার: বাঙালি কবি ও ছড়াকার। প্রায় কুড়ি হাজারেরও বেশি ছড়া লেখেন।
3) তারাপদ সাঁতরা:একজন বাঙালি পুরাতত্ত্ববিদ ও লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ।
4) সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়: উনি ছিলেন একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পন্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
5) শৈলেন ঘোষ: একজন বাঙালি শিশু সাহিত্যিক ও নাট্যকার।
হাওড়া জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র
1) আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন বা শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন: পূর্ব নাম ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই গার্ডেনের উল্লেখ্যযোগ্য দ্রষ্টব্য একটা বিশাল বট বৃক্ষ 250 বছরের প্রাচীন বট বৃক্ষ আছে।
2) বেলুড় মঠ: 1897 সালে শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠা করেন । স্বামী বিবেকানন্দ প্রচারিত এক ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
3) বিদ্যাসাগর সেতু: হুগলি নদীর উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর সেতু পূর্ব নাম দ্বিতীয় হুগলি সেতু।, হাওড়া কলকাতা শহরের সংযোগকারী একটি সেতু।সেতুর তদারককারী সংস্থা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন।
4) রবীন্দ্র সেতু: হাওড়া ব্রিজ পূর্বনাম। 1874 সালের প্রথম হাওড়া সেতু নির্মাণ হয়। 1945 সালে পুরনো সেতুটির বদলে বর্তমান সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। 1965এর নাম পরিবর্তন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অনুসারে রবীন্দ্র সেতু নাম রাখা হয়।
5) বিবেকানন্দ সেতু: পূর্ব নাম ছিল বালি ব্রিজ।1932 সালে এটি নির্মাণ করা হয়। সড়কপথে এটি হাওড়ার গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড কে ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোডএর সঙ্গে যুক্ত করেছে।
6) গাদিয়াড়া: হুগলি ও রূপনারায়ণ নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত।শীতকালে প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে আসেন।
7) গড়চুমুক: হুগলি ও দামোদর নদীর সাংযোগ স্থলে ।এইখানে দামোদর নদের উপর এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ স্লুইস গেট অবস্থিত।